স্বদেশ ডেস্ক:
পরীমনিকাণ্ডে নানাভাবে আসছে নির্মাতার চয়নিকা চৌধুরীর নাম। তাকে ‘মম’ ডাকেন পরীমনি। সাভারের ব্লোট ক্লাবের ঘটনায় আলোচিত নায়িকা পরীমনির পাশে ছিলেন চয়নিকা চৌধুরীর। ওই ঘটনায় পরীমনির পক্ষে সোচ্চার হলেও গত বুধবার পরীমনিকে গ্রেপ্তারের পর চুপ ছিলেন এই নির্মাতা। এর মধ্যেই গতকাল শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) একটি দল তাকে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যায়। কয়েক ঘণ্টা পর আবার তাকে ছেড়েও দেওয়া হয়।
এদিকে গোয়েন্দা পুলিশ কেন তাকে আটক করে নিয়ে যায়- এমন বিষয়ে চয়নিকা চৌধুরী বলেন, ‘পরীমনি গ্রেপ্তারের পর আমাকে নিয়ে অনেক ট্রল হয়েছে। আমি আছি কি নাই, কেন যাই নাই। আমার ফেসবুকও কেন ডিঅ্যাক্টিভেট? এসব বিষয়ে একটি টেলিভিশন আমার অবস্থান জানতে চেয়েছিল। আমিও আমার অবস্থান পরিষ্কার করেছি। অনুষ্ঠান শেষে টেলিভিশন চ্যানেল থেকে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার বাসায় ফিরছিলাম। হঠাৎ পুলিশের একটি দল আমার গাড়ি ঘিরে ধরে। বিষয় হচ্ছে, হঠাৎ করে এভাবে নিয়ে যাওয়াতে ভয় পেয়ে গেছিলাম একটু। আমি বুঝতে পারিনি। ভাবছি, কারা ওরা। ভয় পাইছি। আমি নেমে গেলেই ভালো হতো। যা-ই হোক, আমারই বুঝার ভুল।’
চয়নিকা আরও বলেন, ‘ডিবি কার্যালয়ে যাওয়ার পর সবাই সুন্দর ব্যবহার করল। তারা আমার কাছে কিছু তথ্য জানতে চেয়েছে। আমিও সুন্দরভাবে উত্তর দিয়েছি।’ তবে কী ব্যাপারে জানতে চেয়েছে- এমন প্রশ্নের জবাবে চয়নিকা চৌধুরী বলেন, ‘সেটা তো বলব না। এটা তদন্তাধীন। পরীমনির ব্যাপারে কিছু তথ্য দরকার ছিল। পরীমনির ব্যাপারে ওরা কিছু তথ্য জানতে চেয়েছে। আমি সুন্দর করে উত্তর দিয়েছি। আমার উত্তরে তারা হ্যাপি হয়েছে। আমাকে ছেড়ে দিয়েছে।’
চয়নিকা চৌধুরীর ‘বিশ্বসুন্দরী’ ছবিতে অভিনয় করেছেন পরীমনি। তার ওয়েব ফিল্ম ‘অন্তরালে’র জন্যও সম্প্রতি চুক্তিবদ্ধ হন পরী। পরীমনির সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক দেখা যায়। গত জুনে সাভারের বোট ক্লাবের ঘটনায় ব্যবসায়ী নাসির ইউ মাহমুদের বিরুদ্ধে পরীমনি ধর্ষণের অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেন। ওই সময় তার পাশেই ছিলেন নির্মাত চয়নিকা চৌধুরী। সেসময় পরীমনি চয়নিকাকে বারবার ‘মম’ বলে সম্বোধন করেন।